১
বর্তমান বাঙলাদেশে ধর্ষণের হার কতো যে বেশি তার আলামত পাওয়া যায় পুলিশ রিপোর্ট, ধর্ষণ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন ও পরিসংখ্যানে। যেমন, জানুয়ারি ২০১১ থেকে ডিসেম্বর ২০১২ সাল নাগাদ চলমান এক তথ্যজরিপে দেখা গেছে যে বাঙলাদেশের গ্রামাঞ্চলে (অশহুরে এলাকা) পতি-নয় এমন লোক দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন প্রতি ১০০ জনে ৫.৪ জন নারী (Jewkes, Fulu, Roselli, & Garcia-Moreno, 2013)। শুধুমাত্র ২০০৭ থেকে ২০১১ পর্যন্ত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে রিপোর্ট করা ধর্ষণের শিকারদের কাছ থেকে জানা যায় যে আক্রান্তদের ৭০% ভাগ হচ্ছে ২০ কিংবা তার-ও কম বয়েসী নারী বা মেয়ে, যাদের দুই-তৃতীয়াংশ (৬৪.৬%) আক্রান্ত হয়েছেন পরিচিত লোক দ্বারা, নিজের বাড়িতে বা বাড়ির আশপাশের এলাকায় (৬৪.২%) (Ali, Akhter, Hossain, Khan, 2015)। যেহেতু বাঙলাদেশ, এমনকি ভারতীয় উপমহাদেশ কিংবা এশিয়াতে ধর্ষণ-পরবর্তীতে আক্রান্তদের যে পরিমাণ নাজেহাল করা হয় ধর্ষণ হয়েছে কিনা তা যাচাই করার নামে এবং সামাজিকভাবে আক্রান্তের চরিত্র ও নৈতিক মূল্যবোধের উপর যে কালিলেপন করা হয় তাতে অনেক আক্রান্তই ধর্ষণকে রিপোর্ট করেন না, কিংবা করতে দেয়া হয় না। পূর্বোল্লিখত গবেষণাপত্রটি মতে,শুধুমাত্র ১৪.২% আক্রান্ত ব্যক্তিরা ধর্ষণ-সংক্রান্ত মেডিকেল পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য রিপোর্ট করেছেন ২৪ ঘণ্টার মাঝে,এবং প্রতি চারটি ধর্ষণের একটি হচ্ছে গণধর্ষণ!