তুমি ভাঙতে থাক, আমি চা খাওয়া শেষ হলেই যোগ দিব উৎসবে। চায়ের উপযোগিতা আমার নিউরনে দ্রুত ধরা দেয় না, হালকা কুসুমগরম হলে আমি অমোঘ আরাম পাই; শরীরের আরাম মানসিক নিবিষ্টতার প্রাথমিক সিঁড়ি। শরীর ভাঙতে থাকুক, তুমি অণু-পরমাণু ছুঁয়ে কোর্য়াক হয়ে যাবে; বিবিধ শক্তি থেকে একদা জন্ম দিবে তোমার শরীরভর। আমরা তখন চিরায়িত দর্শক, ব্যস্ততম পরিব্রাজক।
এই চায়ের তাপ হারানো কিংবা গুণগত মান নিয়ে পরীক্ষা হওয়া উচিত। আজ চা পানে মগ্নতা আসছে না, যদি-ও কাল রাতে আশ্বিনের বুকে হেমন্ত-টপকানো শীতের স্পর্শ পেয়েছি। নবান্ন সকালে ভুনা মাংসের খিচুড়ীর মতন চায়ের নির্যাস আমার গলা বেয়ে নেমে যাবে, মুখে দিলে অর্তিকার মোলায়েম বাহুর মতো গলে গলে যাবে- চা বিষয়ক এটা আমার ব্যাখ্যা; আমার বিজ্ঞাপিত সুখচিন্তা।
অর্তিকা, তুমি আরেকটু অপেক্ষা কর। আমি জানি মাঝ দুপুরের রোদ্দুরের চেয়ে লোভী চোখ কোন পুরুষের নেই। তুমি নগ্ন শরীরে থাকতে সংকোচ বোধ করছ, জানি; এথেন্সের রাস্তায়, জাদুঘরে আমি ঈশ্বর, বিলাসী নারীদের দেখেছি- ওরা লজ্জা পায় না, শুধু আমার শরীরের মাঝে অন্য শরীর জেগে উঠে। আমার অঙ্গাবলি শক্ত হয়ে আসে।
অর্তিকা, স্তনের 'পরে আঁচল টানলে চুল নগ্ন হয়ে যাবে যে! পুরো নিমজ্জিত হও, নয়তো হাঁস হও; জলের মেলায় শুকনো ডাঙা। তোমার ঘাড়টা তো বেশ সুন্দর। শালা, নিকুচি করি। এরকম ঘাড় পেলে কে না ভ্যাম্পায়ার হতে চায়- নিদেনপক্ষে রক্তপাতের অবতারণা দেখব। রক্তের স্বাদের চেয়ে রক্তঝরার দৃশ্য উপাদেয়- পৃথিবীতে বিচিত্র সব যুদ্ধ।
আমি চায়ের কাপে আঙুল বোলালাম, তাপে আমার বয়েসী আঙুল মোমের মতো গলে আসে; আমি হাত সরিয়ে নিই। আমার চোখের সামনে উঠে আসে কাশবন; দুধেল শাড়ি এবং শুভ্র মেঘের অভিসারের কাহিনি। হৃদয়-পত্রিকার প্রধান শিরোনাম হবে নিশ্চয়! আরে, একটা ইঁদুর। মেঠো নেংটা ইঁদুর না- ধান চুরি করা দাবড়া ইঁদুর। কাশের শিকড় উপড়াচ্ছে। হতচ্ছাড়া, ধানের অভাব হলো নাকি? কিংবা নানা প্রজাতির যব, গম ? কাশবনে এসে তোর দাঁতের মসৃণতা আনছিস কেন? ইহা কবিদের বিলাসীতার স্থান। ইঁদুরটাকে তাড়াতে হবে, আমি আশপাশ থাকালাম হাতিয়ারের খোঁজে।
চায়ের কাপের হাতল ধরে আমি চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ালাম। অর্তিকার খোলা উরুতে আমি সতেজ চা ঢেলে দিলাম। কামরা কাঁপানো চিৎকার দিয়ে উঠল অর্তিকা। ফোস্কা পড়তে শুরু করছে শৈশবখোলামাঠ উরুতে। চায়ের কাপে হাত দিয়ে আমার মনে হল তাপটা সহনীয় পর্যায়ে নেমে এসেছে। এবার নিশ্চয় চা পানে নিমগ্ন হওয়া যায়!
-----------------
রচনাকাল: আজ
এই চায়ের তাপ হারানো কিংবা গুণগত মান নিয়ে পরীক্ষা হওয়া উচিত। আজ চা পানে মগ্নতা আসছে না, যদি-ও কাল রাতে আশ্বিনের বুকে হেমন্ত-টপকানো শীতের স্পর্শ পেয়েছি। নবান্ন সকালে ভুনা মাংসের খিচুড়ীর মতন চায়ের নির্যাস আমার গলা বেয়ে নেমে যাবে, মুখে দিলে অর্তিকার মোলায়েম বাহুর মতো গলে গলে যাবে- চা বিষয়ক এটা আমার ব্যাখ্যা; আমার বিজ্ঞাপিত সুখচিন্তা।
অর্তিকা, তুমি আরেকটু অপেক্ষা কর। আমি জানি মাঝ দুপুরের রোদ্দুরের চেয়ে লোভী চোখ কোন পুরুষের নেই। তুমি নগ্ন শরীরে থাকতে সংকোচ বোধ করছ, জানি; এথেন্সের রাস্তায়, জাদুঘরে আমি ঈশ্বর, বিলাসী নারীদের দেখেছি- ওরা লজ্জা পায় না, শুধু আমার শরীরের মাঝে অন্য শরীর জেগে উঠে। আমার অঙ্গাবলি শক্ত হয়ে আসে।
অর্তিকা, স্তনের 'পরে আঁচল টানলে চুল নগ্ন হয়ে যাবে যে! পুরো নিমজ্জিত হও, নয়তো হাঁস হও; জলের মেলায় শুকনো ডাঙা। তোমার ঘাড়টা তো বেশ সুন্দর। শালা, নিকুচি করি। এরকম ঘাড় পেলে কে না ভ্যাম্পায়ার হতে চায়- নিদেনপক্ষে রক্তপাতের অবতারণা দেখব। রক্তের স্বাদের চেয়ে রক্তঝরার দৃশ্য উপাদেয়- পৃথিবীতে বিচিত্র সব যুদ্ধ।
আমি চায়ের কাপে আঙুল বোলালাম, তাপে আমার বয়েসী আঙুল মোমের মতো গলে আসে; আমি হাত সরিয়ে নিই। আমার চোখের সামনে উঠে আসে কাশবন; দুধেল শাড়ি এবং শুভ্র মেঘের অভিসারের কাহিনি। হৃদয়-পত্রিকার প্রধান শিরোনাম হবে নিশ্চয়! আরে, একটা ইঁদুর। মেঠো নেংটা ইঁদুর না- ধান চুরি করা দাবড়া ইঁদুর। কাশের শিকড় উপড়াচ্ছে। হতচ্ছাড়া, ধানের অভাব হলো নাকি? কিংবা নানা প্রজাতির যব, গম ? কাশবনে এসে তোর দাঁতের মসৃণতা আনছিস কেন? ইহা কবিদের বিলাসীতার স্থান। ইঁদুরটাকে তাড়াতে হবে, আমি আশপাশ থাকালাম হাতিয়ারের খোঁজে।
চায়ের কাপের হাতল ধরে আমি চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ালাম। অর্তিকার খোলা উরুতে আমি সতেজ চা ঢেলে দিলাম। কামরা কাঁপানো চিৎকার দিয়ে উঠল অর্তিকা। ফোস্কা পড়তে শুরু করছে শৈশবখোলামাঠ উরুতে। চায়ের কাপে হাত দিয়ে আমার মনে হল তাপটা সহনীয় পর্যায়ে নেমে এসেছে। এবার নিশ্চয় চা পানে নিমগ্ন হওয়া যায়!
-----------------
রচনাকাল: আজ
No comments:
Post a Comment