আপনার সময় হবে খানিক? একটা প্রশ্ন করব। ধরুন, একটা ফুল। যে কোন প্রজাতির হতে পারে, যে কোন বর্ণের; গায়ে গন্ধ থাকতে পারে সজনেডাটার কিংবা নাকফুল নারিকেল-পুষ্পের। কী অভাগা কথা! একটা ফুলের গন্ধ-পরিচয় দিচ্ছি অন্য একটি ফুল দিয়ে। যাই হোক, ফুলটাকে কাটতে থাকুন। আপনি সহজাত ভঙ্গিমায় পৌঁছে যাবেন অণুতে। তারপর অস্তিত্ববিলীন অবস্থা পরমাণুতে। আপনি গভীরে যেতে ভালবাসেন, শারীরিক এবং মানসিক কিংবা আত্মিক; আপনি জানেন আমার বাক্সিক ড্রয়ারের সবচেয়ে কোণে লুকানো থাকে মধ্যবিত্ত পিতার উপঢৌকন এবং পেনশনের টাকা। যাই হোক, যা বলছিলাম- আপনি পৌঁছে যাবেন ইলেকট্রন, নিউট্রন, প্রোট্ন থেকে কণা-প্রতিকণার গতিশীল বাস্তুভিটায়। আরো ভাঙতে থাকুন, আমি জানি আপনি রাগমোচনে বিশ্বাসী; আপনি পেলেন নবীন কোয়ার্ক। আমার প্রশ্নটা এবার করি। কোয়ার্কের পরে কী সে বিষয়ে আমার-আপনার সন্দেহ থাকলে-ও কি আপনি ভাঙাভাঙি থামিয়ে ফেলবেন? নাকি রহস্য উদঘাটনে সথেষ্ট থাকবেন?
আমি প্রশ্নটা আরো কয়েকজনকে করেছিলাম। জবাব অবশ্য সুবিধার না। কেউ দায়সারা গোছের কথা বলল, কেউ উন্নাসিক ভাব ধরে নাকের লোম ছেঁড়াতে ব্যস্ত হলেন মাঝসকালে বাংলাদেশ উদ্ধারের নিমিত্তে!
আপনার স্ত্রী বারান্দায় বসলে আপনার লোভ হয় দক্ষিণ হাওয়ার রাতের জন্য- শিয়রের কাঁচা-পাকা ফুল মাঝরাতের শিয়াল-ডাকের সাথে পাল্লা দিয়ে ঝরে পড়লে তার চুলের 'পরে, আপনি বেমানিন ভুলে যান বারান্দায় হাওয়ার কথা। অথচ আপনি জানেন না বারান্দায় এলেই আপনার স্ত্রীর চক্ষুতে বিম্ব তৈরী হয় বিভিন্ন অর্কিড এবং হাওয়ার। তিনি আচানক কামরায় দৌড়ে গিয়ে নিয়ে আসেন জীবনানন্দ দাশ, নিদেনপক্ষে সমকালীন বটতলার কবি 'বিহগ'র তারাবাজি কবিতা এবং বিনম্র স্বরে কবিতা পাঠ করেন। আমি তাকিয়ে দেখি তার হলুদাভ সাদা শাড়ি মেঘের জাহাজ হয়ে যায়, অথচ আপনি সপ্তাহান্তে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার বাসায় বেড়াতে গেলে স্ত্রীর শরীর কিভাবে সাজাবেন সেকথা ভাবতে থাকেন এবং আপনার শরীর গরম হয়ে উঠে সংগোপন কামে। আমি জানি, আপনার মস্তিষ্কে তখন একবার-ও বাংলাদেশের কথা আসে না, কারণ আপনি দুধ ও মাছি একসাথে অনেক দেখেছেন; কিন্তু, জোঁক দেখেন নাই। আয়নায় নিজের চেহারা দেখা যায়, মন না।
আপনি তেলের দাম বাড়ার সংবাদে শংকিত হয়ে পড়েন, জলাভাবে অনাঙ্কুরিত ধানক্ষেতের দিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চাইনিজ-ফাস্টফুড খেয়ে যান, মানুষকে খুশি করা কর্তব্য জেনে আপনি ফি মাসে উপহার পাঠান আমলাদের কাছে।
আমার তখন গোৎসা হয়। আমি ঠিক করেছি আসছে মাসে আপনার লাশ ফেলে দিব। জানি, আপনার মৃত্যুতে বেশি লোক কাঁদবে না। শুধু আপনার স্ত্রীর কবিতার বই ধরা হাত হয়ে যাবে অর্কিডবারান্দা এবং সন্তানের কপালে জন্মাবে অবাকবাংলাদেশসূর্য্যি।
আমি প্রশ্নটা আরো কয়েকজনকে করেছিলাম। জবাব অবশ্য সুবিধার না। কেউ দায়সারা গোছের কথা বলল, কেউ উন্নাসিক ভাব ধরে নাকের লোম ছেঁড়াতে ব্যস্ত হলেন মাঝসকালে বাংলাদেশ উদ্ধারের নিমিত্তে!
আপনার স্ত্রী বারান্দায় বসলে আপনার লোভ হয় দক্ষিণ হাওয়ার রাতের জন্য- শিয়রের কাঁচা-পাকা ফুল মাঝরাতের শিয়াল-ডাকের সাথে পাল্লা দিয়ে ঝরে পড়লে তার চুলের 'পরে, আপনি বেমানিন ভুলে যান বারান্দায় হাওয়ার কথা। অথচ আপনি জানেন না বারান্দায় এলেই আপনার স্ত্রীর চক্ষুতে বিম্ব তৈরী হয় বিভিন্ন অর্কিড এবং হাওয়ার। তিনি আচানক কামরায় দৌড়ে গিয়ে নিয়ে আসেন জীবনানন্দ দাশ, নিদেনপক্ষে সমকালীন বটতলার কবি 'বিহগ'র তারাবাজি কবিতা এবং বিনম্র স্বরে কবিতা পাঠ করেন। আমি তাকিয়ে দেখি তার হলুদাভ সাদা শাড়ি মেঘের জাহাজ হয়ে যায়, অথচ আপনি সপ্তাহান্তে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার বাসায় বেড়াতে গেলে স্ত্রীর শরীর কিভাবে সাজাবেন সেকথা ভাবতে থাকেন এবং আপনার শরীর গরম হয়ে উঠে সংগোপন কামে। আমি জানি, আপনার মস্তিষ্কে তখন একবার-ও বাংলাদেশের কথা আসে না, কারণ আপনি দুধ ও মাছি একসাথে অনেক দেখেছেন; কিন্তু, জোঁক দেখেন নাই। আয়নায় নিজের চেহারা দেখা যায়, মন না।
আপনি তেলের দাম বাড়ার সংবাদে শংকিত হয়ে পড়েন, জলাভাবে অনাঙ্কুরিত ধানক্ষেতের দিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চাইনিজ-ফাস্টফুড খেয়ে যান, মানুষকে খুশি করা কর্তব্য জেনে আপনি ফি মাসে উপহার পাঠান আমলাদের কাছে।
আমার তখন গোৎসা হয়। আমি ঠিক করেছি আসছে মাসে আপনার লাশ ফেলে দিব। জানি, আপনার মৃত্যুতে বেশি লোক কাঁদবে না। শুধু আপনার স্ত্রীর কবিতার বই ধরা হাত হয়ে যাবে অর্কিডবারান্দা এবং সন্তানের কপালে জন্মাবে অবাকবাংলাদেশসূর্য্যি।
No comments:
Post a Comment