মিহেলা, তোমাকে ঘিরে বিস্তারিত হচ্ছে আমার অন্যমনস্কতা- অবহেলার গলিজুড়ে
বয়েসসন্ধির
বালকের অবুঝ জিজ্ঞাসার মতন, হারিয়ে ফেলা
সাইকেলের মতন, হয়তো এই সাইকেল কখনোই ছিলো না,
হয়তো একে মানসে গড়েছি, তোমাকে গড়ার মতন, ভালোবেসে মূলত
আমরা পরষ্পরকে রূপ দিই; মিহেলা,
তোমাকে ভালোবেসে এখানে নিজের সাথে একা
একত্রে।
হায় অক্সিটোসিন, কেনো তার দিকেই লক্ষ্য করে ভেসে যায় আকাঙ্ক্ষার ডিঙি;
মিহেলা, কেনো তোমার দিকে যেতে পেরিয়ে যেতে হয় প্রসারণমান লৌহ-লোমের বাগান?
মিহেলা, তুমি এক ঋতুচোর, আগামী পৃথিবী হবে একই সময়-মানের
নিচে
আহত বাবুনের কাছে গজদন্ত-রাঙা শীতে তুমি
বিস্তারিত
বসন্ত। তোমাকে ভালোবাসা মানে তুমি চলে
যাওয়ার পরের মধুর হাহাকারকে ভালোবাসা।
সে তোমার মন শেয়ারবাজার সূচকের মতন
ওঠানামা করে অতর্কিত, তোমাকে ভালোবেসে আমি
বুনোঘাসের মাঠের আপাতত পরিতাক্ত্যতা, কোনো আলঝেইমার্-রোগীর
কামরায় চটুক ছবি। অনলাইনে তোমার দেখা নেই, শুধু
প্রস্থান-নোটিফিকেশনের মর্মর অথবা এই পর্দায় রঙের হাহাকার। তুমি আজন্ম পাপ,
পরাধীন মুয়াজ্জিনের
কিশোরবালকের প্রতি যৌনলোভ।
মিহেলা, সময়ের সন্তানেরা কেনো
গোধূলিকালীন আলোকরশ্মির দিকে তাকিয়ে থাকে বিনীত ভেড়ার মতন, প্রত্যুত্তরে জানা যায় না কিছু- কেবল নিছক সংখ্যা ও
স্বাভাবিকতার দোহাই দিয়ে ভ্যানিলার প্রতি সার্বজনীন ভালোলাগার মতো;
লিখি, তোমাকে নিয়ে লিখি।
নিজ থেকে পালানোর জন্য লিখি। লিখি, নিয়ন্ত্রণের জন্য, অন্যের চিন্তা ও
চেতনাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য।
যে অভ্যস্ততায় নতুন বছরের প্রথমদিকে
তারিখে গতবছর লিখি সেই অভ্যস্তায় তোমায় ভাবি
যদিও তুমি বিগত হয়েছো প্রচুর কাল আগে-
যে সন্তান মৃত জন্মে তাকে ঘিরে নিজের পাপবোধ
তোমাকে ঘিরে
No comments:
Post a Comment