কীভাবে সার্স-কোভ-২ ভাইরাস আপনাকে সংক্রামিত করে এবং কীভাবে এটির ছড়িয়ে পড়া ঠেকাবেন?

নিউ ইয়র্ক টাইমসে একটি দারুণ সচিত্র লেখা পড়লাম। জোনাথন কোরাম এবং কার্ল জিমারের লেখা। বিভিন্ন অঙ্কনের মাধ্যমে সহজবোধ্যভাবে বোঝানো হয়েছে কীভাবে করোনাভাইরাস আপনার শরীরকে আক্রান্ত করে। যেহেতু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার মতো সাধারণ জ্ঞান নিয়ে-ও অনেক গুজব ও উস্কানিমূলক অপতথ্য প্রকাশিত হচ্ছে তাই আমার ইচ্ছে হলো বাঙালি পাঠকদের জন্য এটি অনুবাদ করি। 

চিত্র: সার্স-কোভ-২ ভাইরাস 

কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে প্রতি-প্রদাহী ওষুধ সেবন করবেন না

কোনোভাবে যদি আপনি কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েই যান তবে উপসর্গ কমানোর বা উপশমের জন্য সহজলভ্য প্রতি-প্রদাহী ওষুধসমূহ (anti-inflammatory drug) খাবেন না, এগুলো করোনাভাইরাসকে (আপনার শরীরের রোগপ্রতিরোধকে) আর-ও খারাপ করতে পারে। প্রতি-প্রদাহী ওষুধসমূহ গ্রহণের ফলে সংক্রমণ আর-ও বাড়তে পারে। সংক্রামক ব্যাধিগুলোর ক্ষেত্রে প্রতি-প্রদাহী ওষুধসমূহ ঝুঁকি সৃষ্টি করে, কারণ এগুলো শরীরের নিজস্ব রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেয় বা ব্যবস্থার প্রতিক্রিয়া হ্রাস করে। অথচ সংক্রামক ব্যাধিগুলোর ক্ষেত্রে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে আপনার শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সুষ্ঠ কাজ করতে হবে।

কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে

এক বীরবল লোকের পোস্ট দেখলাম। তিনি বলছেন যে তিনি কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে সমস্যা নেই যেহেতু বয়েস অনুসারে তার মৃত্যুর ঝুঁকি কম তাই একবার আক্রান্ত হয়ে গেলে তার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যাবে তারপর তিনি ইচ্ছে মতো চলাফেরা যা-ইচ্ছে-খুশি করতে পারবেন। যারা এই ধরণের চিন্তা করেন তাদের জন্য খারাপ খবর আছে। প্রথমত, আপনি ভাইরাসের একজন ক্যারিয়ার হয়ে অন্যদের মাঝে এটিকে ছড়িয়ে দিতে পারেন, যাদের মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি (যেমন, বয়ষ্ক মানুষ, কিংবা যাদের পূর্ব কোনো রোগ আছে, কিংবা যাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম)। দ্বিতীয়ত, আপনি মারা না গেলে-ও কোভিড-১৯ ভাইরাসের আক্রান্ত হলে আপনার শরীরে তার প্রভাব থেকে যেতে পারে!

কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস সংক্রামণ ঠেকানোর জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন

ছবিসূত্র: Proceedings of the National Academy of Sciences

এই ছবিটা ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লু এর, ২০০৭ সালে Proceedings of the National Academy of Sciences নামক বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্র (https://www.pnas.org/content/104/18/7582) থেকে নেয়া। সেইসময়ে আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রের দুটো শহরের চিত্র তুলনা করা হয়েছে এই গ্রাফে, শহর দুটোর কর্তৃপক্ষ ও শহরবাসী ফ্লু’কে কীভাবে মোকাবিলা করেছিলো এবং সেই প্রস্তুতি ও কার্যকলাপের কারণে কতোজন মারা গিয়েছিলো তার একটি তুলনাচিত্র।

সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাকালীন যা করতে পারেন

অনেক জাদুঘর ও শিল্পকলা স্থাপনার ভার্চুয়াল দর্শন নিতে পারেন। গুগল শিল্প ও সংস্কৃতি সারা পৃথিবীর প্রায় ৫০০ জাদুঘর ও শিল্পপ্রদর্শনী সংস্থার সাথে যৌথভাবে ভার্চুয়াল বা আন্তর্জালিক ট্যুর প্রদান করছে। যেকোনো জাদুঘর ঘুরে আসতে পারেন আপনার সোফা থেকেই। আমার প্রিয় হচ্ছে ভ্যান গগ জাদুঘর।  অন্যান্য খ্যাতনামা ও বহুল দর্শিত স্থানগুলোর লিংক:
British Museum, London
Guggenheim Museum, New York
National Gallery of Art, Washington, D.C.
Musée d’Orsay, Paris
National Museum of Modern and Contemporary Art, Seoul
Pergamon Museum, Berlin
Rijksmuseum, Amsterdam
Van Gogh Museum, Amsterdam
The J. Paul Getty Museum, Los Angeles
Uffizi Gallery, Florence
MASP, São Paulo
National Museum of Anthropology, Mexico City