জুনের এই রৌদ্রদিনে কী এক অদ্ভুত আসক্তি
সারা শরীরে অধিক গরম নিয়ে-ও দীর্ঘ তিন
মাইল হেঁটে আরো হাঁটতে ইচ্ছে করে; ফ্রুটফ্লাইয়ের
ডানার গন্ধে আরো ঘনো হচ্ছে বাতাস! এই
বর্ণাঢ্য মন্ট্রিয়াল প্রস্তুত করছে জ্যাজ ফেস্টির
আয়োজনে; বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সৌন্দর্যের প্রতিবাদ!
এই চায়নাটাউন খুচরো পয়সা ও সাইকেলের
টুংটাঙে ভরে উঠছে চৌকস হরকরার গুঞ্জনে।
মসলার গন্ধে বাতাস তেঁতে উঠছে দাসপ্রথার ঝাঁঝে!
বর্ণিল ক্যাফে মুখরিত হচ্ছে মুখরা ফরাসি রমণীর
যৌনহাসিতে, চাহনিতে ঝরে পড়ছে বিশুদ্ধ বিজ্ঞাপনের
রেখাচিত্র। আহ্, দৃষ্টির হেমলক।
পকেটে রাখা ফোনে গোপনে জেগে ওঠে
জবাব না দেয়া ইমেইলের অস্থিরতা!
এই আধো রোদ এখানে অলিগলিতে তৈরি করে
চলেছে তৃষ্ণার করিডোর,
সাংস্কৃতিক ট্যাবু, ও পরিচয়-সঙ্কটের কাঁটা।
চায়নাটাউন ফেরত আমার মনে হয়:
অভিমান হলো একটি বিমর্ষ কমলালেবু।
ঘুমিয়ে পড়ি
চোখের ভেতরে জাগরণের তৃষ্ণা নিয়ে
নভোচারীর নির্জনতা সঙ্গী করে!
No comments:
Post a Comment