আমি নোনাধরা পুকুর পাড়ের উচ্ছাসিত গোসল সাজিয়ে রেখেছি নিউরনে নিউরনে। স্মৃতিক্ষয়নির্যাস'র শ্রাদ্ধ করে আমি দিব্যি শৈশব-কৈশোর জাবর কাটি, ভাঁজ করি বাসররাতের শাড়ীর মতো আনমনে। চকচকে বাথটাব আমাদের সরোবর সঙ্গী; আয়তনে বিশাল আমাদের বাথটাব আমাকে কামুক করে তুলে মাঝে মাঝে; ধুলকি চালে নড়তে থাকা পুকুরঘাটের মায়া কামজ বৈকি।
বাড়িটা কিনেছি বছর দেড়েক হয়েছে। আবিদ বাথরুমবিলাসী, একটু খোলাসা করে বলি; গোসল করতে সে সময় নেয় ঘণ্টা দুই প্রায়। এটুকু সময় সে কি করে তা আমার অগোচরে; আমরা যারা আধুনিক মানুষ তারা স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তায় বিশ্বাস করি- আমাদের সন্দেহজনক মনকে বশে রেখে।
আমার মাঝে মাঝে মনে হয় বাথরুমবিলাসী আবিদ বাড়িটা কিনেছে এই বিশাল বাথরুমের কারণে, যদি-ও এটা পরীক্ষিত সত্য নয়।
কাল রাতে একটা ভোজন ছিল, আমাদের আধুনিক অভিধানে পার্টি হিসেবে সংরক্ষিত। ফিরলাম রাতে একটায়, আবিদের প্রেমজ-কামজ-আত্নজ মৃদ্যু অত্যাচার নিয়ে ঘুমকে পাশে শোয়ালাম ভোর রাত তিনটায়। আজ ছুটি। সময় নিয়ে গোসল করার ইচ্ছা নিয়ে বাথরুমে ঢুকে দেখি ঠান্ডা-গরম পানির পাইপে অনাঙ্ক্ষিত গোলযোগ সৃষ্টি হয়েছে, ফলশ্রুতিতে আমার পরকীয়াপ্রেমিকগোসল করতে বিলম্ব হল মিনিট পনের। সবকিছুর স্বাভাবিক বন্দোবস্ত করে নগ্ন শরীরে বাথটাবে নিজেকে প্রবেশ করালাম। নারীরা-ও প্রবেশ করানোর স্বাদ নিতে ভালবাসে! আবিদ অফিসে, মাইরি বলছি, ও কাছে থাকলে হাংলার মতন তাকিয়ে থাকত; দেবীর আশ্রম মানুষের বাথরুমে ঠাঁই নিয়েছে ইদানীংকাল।
কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে আমি নিজেকে আদর করলাম। নিজেকে আদর করা মাঝে মায়া আছে, ঘোরমায়া। আমি তারিয়ে তারিয়ে মায়াবন্ধন পরছি! পুরো বাথটাব পানি পূর্ণ হলে আমি পাঁচ মিনিটের মতো চুপটি শুয়ে থাকলাম, শুধু মাথাটা উপরে উঠানো, সারা শরীর জলের দাসী এখন। মাথাটা পানির নিচে নিয়ে থাকা গেলে ভালতর হতো, মীনজাতির প্রতি আমার ঈর্ষা প্রকাশ পেল- একটা ফুলকা চাই আমার।
আবিদ কাল রাতে তুশার সাথে কি বাড়াবাড়ি করে ফেলেনি? তুশাটা কেমন গেঁয়ো মেয়ে, হাত ধরলেই বুঝি প্রেম হয়ে যায়! মাহাবুব সাহেব তো সেদিন কনিকার শরীরময় দাঁড়িয়েছিলেন- অথচ কনিকা কী মোহময় হাসি দিয়ে সামলে নিল! আবিদের সাথে কি এই ব্যাপারে কথা বলব? বলা উচিত? সামান্য ব্যাপার নয় কি? কিন্তু তুশাটা যেভাবে আবিদের হাত ঝেড়ে ফেলে দিল তা চিন্তা উদ্দেপক বটে।
আমি শরীর পরিষ্কার করার কার্যে নিমগ্ন হলাম। বাঁ স্তনে আবিদের প্রথাগত দাঁতের দাগ এখনো বিদ্যমান! তরলসাবান দিয়ে সমগ্র বাথটাবের পানিকে ফেনা ফেনা করে তুললাম। ফেনাময় বাথটাব, ফেনাময় বাথরুম, ফেনাময় বাড়ি, ফেনাময় জীবন; ধরত গেলে পিছলে যায়, উবে যায়।
গান ছেড়ে দিলে সোনায়-সোহাগা হতো। বাথরুমে গানের বন্দোবস্থ করার কৃতিত্ব আবিদের একার। লুকানো স্পিকারে আমার ধাবমান সংগীত শুনি, আমাদের ধাতস্থ করি!
আমার গোসল শেষ হয়ে এসেছে। বাথটাবের পানি ছেড়ে দিলাম; কল-কল করে পানি নেমে যাচ্ছে, ফেনাময় পানি! না, কলকল করে তো শব্দ হচ্ছে না! পানির নিরীহ স্রোতের দিকে তাকিয়ে আমি বিজ্ঞানমনষ্ক হয়ে গেলাম! বাচ্চারা কান্না করলে পানির ছেড়ে দিবেন বেসিনে, বাচ্চাকে কাছে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবেন। দেখবেন, কান্না থেমে গেছে। বেসিনে কৃত্রিম জলাশয় তৈরী করা পানির শব্দতরঙ্গ নিয়ামকস্বরূপ!
আমি বাথটাবের দুপাশে হাত রেখে উঠে দাঁড়াবার চেষ্টা করলাম। আমার হাত পিছলে গেল। এই আর এমন কি! কতরাতে আমার শরীর আবিদের কাছ থেকে পিছলে যায়। সাবানপানিতে বাথটাব পিচ্ছিল হয়ে গেছে।
আমি একহাত শরীরের নিচে দিয়ে, অন্য হাত বাথটাবের কিনারায় রেখে ভর দিয়ে উঠে দাঁড়াবার পণ নিলাম। আমার হাতদ্বয় দ্বিতীয়বারের মতন পিছলে গেল!
বাড়িটা কিনেছি বছর দেড়েক হয়েছে। আবিদ বাথরুমবিলাসী, একটু খোলাসা করে বলি; গোসল করতে সে সময় নেয় ঘণ্টা দুই প্রায়। এটুকু সময় সে কি করে তা আমার অগোচরে; আমরা যারা আধুনিক মানুষ তারা স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তায় বিশ্বাস করি- আমাদের সন্দেহজনক মনকে বশে রেখে।
আমার মাঝে মাঝে মনে হয় বাথরুমবিলাসী আবিদ বাড়িটা কিনেছে এই বিশাল বাথরুমের কারণে, যদি-ও এটা পরীক্ষিত সত্য নয়।
কাল রাতে একটা ভোজন ছিল, আমাদের আধুনিক অভিধানে পার্টি হিসেবে সংরক্ষিত। ফিরলাম রাতে একটায়, আবিদের প্রেমজ-কামজ-আত্নজ মৃদ্যু অত্যাচার নিয়ে ঘুমকে পাশে শোয়ালাম ভোর রাত তিনটায়। আজ ছুটি। সময় নিয়ে গোসল করার ইচ্ছা নিয়ে বাথরুমে ঢুকে দেখি ঠান্ডা-গরম পানির পাইপে অনাঙ্ক্ষিত গোলযোগ সৃষ্টি হয়েছে, ফলশ্রুতিতে আমার পরকীয়াপ্রেমিকগোসল করতে বিলম্ব হল মিনিট পনের। সবকিছুর স্বাভাবিক বন্দোবস্ত করে নগ্ন শরীরে বাথটাবে নিজেকে প্রবেশ করালাম। নারীরা-ও প্রবেশ করানোর স্বাদ নিতে ভালবাসে! আবিদ অফিসে, মাইরি বলছি, ও কাছে থাকলে হাংলার মতন তাকিয়ে থাকত; দেবীর আশ্রম মানুষের বাথরুমে ঠাঁই নিয়েছে ইদানীংকাল।
কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে আমি নিজেকে আদর করলাম। নিজেকে আদর করা মাঝে মায়া আছে, ঘোরমায়া। আমি তারিয়ে তারিয়ে মায়াবন্ধন পরছি! পুরো বাথটাব পানি পূর্ণ হলে আমি পাঁচ মিনিটের মতো চুপটি শুয়ে থাকলাম, শুধু মাথাটা উপরে উঠানো, সারা শরীর জলের দাসী এখন। মাথাটা পানির নিচে নিয়ে থাকা গেলে ভালতর হতো, মীনজাতির প্রতি আমার ঈর্ষা প্রকাশ পেল- একটা ফুলকা চাই আমার।
আবিদ কাল রাতে তুশার সাথে কি বাড়াবাড়ি করে ফেলেনি? তুশাটা কেমন গেঁয়ো মেয়ে, হাত ধরলেই বুঝি প্রেম হয়ে যায়! মাহাবুব সাহেব তো সেদিন কনিকার শরীরময় দাঁড়িয়েছিলেন- অথচ কনিকা কী মোহময় হাসি দিয়ে সামলে নিল! আবিদের সাথে কি এই ব্যাপারে কথা বলব? বলা উচিত? সামান্য ব্যাপার নয় কি? কিন্তু তুশাটা যেভাবে আবিদের হাত ঝেড়ে ফেলে দিল তা চিন্তা উদ্দেপক বটে।
আমি শরীর পরিষ্কার করার কার্যে নিমগ্ন হলাম। বাঁ স্তনে আবিদের প্রথাগত দাঁতের দাগ এখনো বিদ্যমান! তরলসাবান দিয়ে সমগ্র বাথটাবের পানিকে ফেনা ফেনা করে তুললাম। ফেনাময় বাথটাব, ফেনাময় বাথরুম, ফেনাময় বাড়ি, ফেনাময় জীবন; ধরত গেলে পিছলে যায়, উবে যায়।
গান ছেড়ে দিলে সোনায়-সোহাগা হতো। বাথরুমে গানের বন্দোবস্থ করার কৃতিত্ব আবিদের একার। লুকানো স্পিকারে আমার ধাবমান সংগীত শুনি, আমাদের ধাতস্থ করি!
আমার গোসল শেষ হয়ে এসেছে। বাথটাবের পানি ছেড়ে দিলাম; কল-কল করে পানি নেমে যাচ্ছে, ফেনাময় পানি! না, কলকল করে তো শব্দ হচ্ছে না! পানির নিরীহ স্রোতের দিকে তাকিয়ে আমি বিজ্ঞানমনষ্ক হয়ে গেলাম! বাচ্চারা কান্না করলে পানির ছেড়ে দিবেন বেসিনে, বাচ্চাকে কাছে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবেন। দেখবেন, কান্না থেমে গেছে। বেসিনে কৃত্রিম জলাশয় তৈরী করা পানির শব্দতরঙ্গ নিয়ামকস্বরূপ!
আমি বাথটাবের দুপাশে হাত রেখে উঠে দাঁড়াবার চেষ্টা করলাম। আমার হাত পিছলে গেল। এই আর এমন কি! কতরাতে আমার শরীর আবিদের কাছ থেকে পিছলে যায়। সাবানপানিতে বাথটাব পিচ্ছিল হয়ে গেছে।
আমি একহাত শরীরের নিচে দিয়ে, অন্য হাত বাথটাবের কিনারায় রেখে ভর দিয়ে উঠে দাঁড়াবার পণ নিলাম। আমার হাতদ্বয় দ্বিতীয়বারের মতন পিছলে গেল!
=================================
=================================
মূল পোস্ট: সামহয়্যার-ইন-ব্লগ
রচনাকাল: ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯
মূল পোস্ট: সামহয়্যার-ইন-ব্লগ
রচনাকাল: ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯
No comments:
Post a Comment