সবিতা, বাড়িতে একলা দরজাটা আছে।
অঋণী গৃহস্ত গেছে জলের ধারে, শাপলাফুল ভেজে আজ ভোজন হবে।
সবিতা, জানালাগুলো মায়ামায়া খোলা।
জানালারা কথা বলতে জানে, জানালারা কথা শুনে।
একটা কমলাগাছ দাঁড়িয়ে আছে বারান্দায়। কলম করা, বনসাঁই। কমলাগাছ বাতাস হাতড়ায়।
দরজা উঁকি দিতে গিয়ে খুলে যায়।
চুরচুর।
কর্তা বাড়িতে ছিল না। কমলাখোর এসেছিল সবিতার ঘরে।
সবিতা, অইটা কী জানো? টিকিটিকি। গৃহস্ত বাড়ির নিরব দর্শক।
টিক-টিক-টিক।
বাহ্! এমন শো-পিস সবাই আজকাল খরিদ করে। মানানসই। সাত্তার বাড়ির লোকটা গোলপাতা দিয়ে অদ্ভুত নৌকা বানাতে পারতো। লোকটা জন্মান্ধ ছিল। সমুদ্র কোথায় জানতো না। চোখ না থাকলে সমুদ্র টিকটিকির লেজ।
সবিতা, শাপলাফুল অনেক জলে ভাসে। সোহাগ না থাকলে কেউ পেন্নাম দেয় না।
চিতার আগুনটা ঘাস লতাপাতা দিয়েই ধরানো হয়; কাঠ দিয়ে নয়।
টিকটিক।
'সেই কখন থেকে বেল টিপছি। কেউ খুলছে না কেন? জসিম কই?'
'সে সিনেমা দেখতে গেছে। সখ করল। এক বিকালই তো।'
'ও আচ্ছা।' সে শোবার ঘরে ডুকে। সে টিকটিকি দেখে না।
'এরকম এলোমেলো কেন সবকিছু।' নিছক কথার দীর্ঘসূত্রতা।
'বুয়াটা দুপুরে চলে গেছে। মানে ছুটি নিল। তুমি কি চা খাবে?'
'না, কফি দাও। বিস্কিট-টিস্কিট কিছু থাকলে দিও।'
'কাল নতুন স্বাদের একটা কেক পেলাম। ওইটা চেখে দেখ।'
সবিতা, রান্নাঘর অইদিকে না, অইখানে স্নানঘর। জানালাটা পাশখোলা। শাপলাফুলের ঠ্যাঙ নেই। অনেক জল লাগে বাড়তে।
সবিতা, বারান্দায় একজন কমলাখোর ঝুলে আছে।
[রচনাকাল: আত্মবিস্মৃত]
অঋণী গৃহস্ত গেছে জলের ধারে, শাপলাফুল ভেজে আজ ভোজন হবে।
সবিতা, জানালাগুলো মায়ামায়া খোলা।
জানালারা কথা বলতে জানে, জানালারা কথা শুনে।
একটা কমলাগাছ দাঁড়িয়ে আছে বারান্দায়। কলম করা, বনসাঁই। কমলাগাছ বাতাস হাতড়ায়।
দরজা উঁকি দিতে গিয়ে খুলে যায়।
চুরচুর।
কর্তা বাড়িতে ছিল না। কমলাখোর এসেছিল সবিতার ঘরে।
সবিতা, অইটা কী জানো? টিকিটিকি। গৃহস্ত বাড়ির নিরব দর্শক।
টিক-টিক-টিক।
বাহ্! এমন শো-পিস সবাই আজকাল খরিদ করে। মানানসই। সাত্তার বাড়ির লোকটা গোলপাতা দিয়ে অদ্ভুত নৌকা বানাতে পারতো। লোকটা জন্মান্ধ ছিল। সমুদ্র কোথায় জানতো না। চোখ না থাকলে সমুদ্র টিকটিকির লেজ।
সবিতা, শাপলাফুল অনেক জলে ভাসে। সোহাগ না থাকলে কেউ পেন্নাম দেয় না।
চিতার আগুনটা ঘাস লতাপাতা দিয়েই ধরানো হয়; কাঠ দিয়ে নয়।
টিকটিক।
'সেই কখন থেকে বেল টিপছি। কেউ খুলছে না কেন? জসিম কই?'
'সে সিনেমা দেখতে গেছে। সখ করল। এক বিকালই তো।'
'ও আচ্ছা।' সে শোবার ঘরে ডুকে। সে টিকটিকি দেখে না।
'এরকম এলোমেলো কেন সবকিছু।' নিছক কথার দীর্ঘসূত্রতা।
'বুয়াটা দুপুরে চলে গেছে। মানে ছুটি নিল। তুমি কি চা খাবে?'
'না, কফি দাও। বিস্কিট-টিস্কিট কিছু থাকলে দিও।'
'কাল নতুন স্বাদের একটা কেক পেলাম। ওইটা চেখে দেখ।'
সবিতা, রান্নাঘর অইদিকে না, অইখানে স্নানঘর। জানালাটা পাশখোলা। শাপলাফুলের ঠ্যাঙ নেই। অনেক জল লাগে বাড়তে।
সবিতা, বারান্দায় একজন কমলাখোর ঝুলে আছে।
[রচনাকাল: আত্মবিস্মৃত]
No comments:
Post a Comment