১
আমরা জানি যে ধুমপায়ীরা কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হন সাধারণ জনসাধারণের তুলনায় বেশি সংখ্যক হারে। কারণ কী? অন্যদিকে, আমরা এই-ও জানি যে কোভিড-১৯ এর জন্য দায়ী করোনাভাইরাস সার্স-কোভ-২ মানবদেহের যেসব কোষে এসিই২ (ACE2) রিসেপ্টর আছে এমন কোষে এই রিসেপ্টরের মাধ্যমে প্রবেশ করে। নতুন এক গবেষণা [https://doi.org/10.1016/j.devcel.2020.05.012] মতে, ধুমপান ফুসফুসে এসিই২ প্রোটিনের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে যা কোষের ভাইরাস দ্বারা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। ধুমপান ত্যাগ করলে এসিই২ রিসেপ্টরের মাত্রা (সংখ্যা) হ্রাস পায়। এই গবেষণা আলোকপাত করেছে কেনো অন্যান্য লোকজনের তুলনায় ধুমপায়ীরা বেশি সংখ্যক হারে কোভিড-১৯ -এ আক্রান্ত হন এবং মৃত্যুবরণ করেন।
আমরা জানি যে ধুমপায়ীরা কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হন সাধারণ জনসাধারণের তুলনায় বেশি সংখ্যক হারে। কারণ কী? অন্যদিকে, আমরা এই-ও জানি যে কোভিড-১৯ এর জন্য দায়ী করোনাভাইরাস সার্স-কোভ-২ মানবদেহের যেসব কোষে এসিই২ (ACE2) রিসেপ্টর আছে এমন কোষে এই রিসেপ্টরের মাধ্যমে প্রবেশ করে। নতুন এক গবেষণা [https://doi.org/10.1016/j.devcel.2020.05.012] মতে, ধুমপান ফুসফুসে এসিই২ প্রোটিনের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে যা কোষের ভাইরাস দ্বারা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। ধুমপান ত্যাগ করলে এসিই২ রিসেপ্টরের মাত্রা (সংখ্যা) হ্রাস পায়। এই গবেষণা আলোকপাত করেছে কেনো অন্যান্য লোকজনের তুলনায় ধুমপায়ীরা বেশি সংখ্যক হারে কোভিড-১৯ -এ আক্রান্ত হন এবং মৃত্যুবরণ করেন।
২
অন্য আরেকটি গবেষণা [https://doi.org/10.1377/hlthaff.2020.00455] মতে, আক্রান্ত হওয়ার পরে বিভিন্ন লক্ষণ প্রকাশ করেন এমন রোগীদের ক্ষেত্রে অর্থাৎ লাক্ষণিক (symptomatic) কেইসের ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ -এ মৃত্যুর হার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১.৩%, যা সাধারণ মৌসুমি ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার হারের চেয়ে ১৩ গুণ বেশি! তাই যারা এখনো বলেন যে কোভিড-১৯ রোগ মৌসুমি ফ্লুয়ের চেয়ে ভয়াবহ না তারা মূলত অপতথ্য প্রচার করেন।
৩
বিভিন্ন গবেষণা অনুসারে বানানো এই ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে আপনি কোভিড-১৯ রোগে আপনার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বা ঝুঁকি নির্ণয় করতে পারবেন। এবং আক্রান্ত হলে আপনার মৃত্যুর সম্ভাবনা বা ঝুঁকি-ও নির্ণয় করতে পারবেন। যেমন, এই ক্যালকুলেটর অনুসারে আমার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ১৩% এবং আক্রান্ত হওয়ার পরে মৃত্যুর সম্ভাবনা ০.০৩%!
৪
অন্য আরেকটি গবেষণা [https://doi.org/10.1377/hlthaff.2020.00455] মতে, আক্রান্ত হওয়ার পরে বিভিন্ন লক্ষণ প্রকাশ করেন এমন রোগীদের ক্ষেত্রে অর্থাৎ লাক্ষণিক (symptomatic) কেইসের ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ -এ মৃত্যুর হার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১.৩%, যা সাধারণ মৌসুমি ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার হারের চেয়ে ১৩ গুণ বেশি! তাই যারা এখনো বলেন যে কোভিড-১৯ রোগ মৌসুমি ফ্লুয়ের চেয়ে ভয়াবহ না তারা মূলত অপতথ্য প্রচার করেন।
৩
বিভিন্ন গবেষণা অনুসারে বানানো এই ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে আপনি কোভিড-১৯ রোগে আপনার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বা ঝুঁকি নির্ণয় করতে পারবেন। এবং আক্রান্ত হলে আপনার মৃত্যুর সম্ভাবনা বা ঝুঁকি-ও নির্ণয় করতে পারবেন। যেমন, এই ক্যালকুলেটর অনুসারে আমার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ১৩% এবং আক্রান্ত হওয়ার পরে মৃত্যুর সম্ভাবনা ০.০৩%!
৪
নেইচারবৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা মতে, ইংল্যান্ডের ১৭ মিলিয়ন লোকের-ও বেশি লোকের
সমীক্ষায় ও স্বাস্থ্যতথ্য বিশ্লেষণ করে দেখে গেছে যে কোভিড-১৯ -এ আক্রান্ত হয়ে মারা
যাওয়ার ঝুঁকির সাথে বিভিন্ন ফ্যাক্টরের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে: রোগীর বয়েস, রোগীর লিঙ্গ
(পুরুষ হলে), কৃষ্ণ অথবা অন্যকোনো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক হলে, অথবা পূর্বের কোনো
অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্যসমস্যা বা রোগ থাকলে। গবেষণার জন্য গবেষকরা ইংল্যান্ডের প্রায়
৪০% জনসংখ্যার স্বাস্থাসেবা সংক্রান্ত তথ্য ব্যবহার করেছেন। এই জনসংখ্যার মধ্যে ১০৯২৬
মানুষ ইতিমধ্যে কোভিড-১৯ -এ আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। বিজ্ঞানিরা কী পেয়েছেন?
তাদের
গবেষণা মতে, ব্যক্তির বয়েস হচ্ছে মৃত্যুর ঝুঁকি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বড় কারণ, যাদের বয়েস
৬০ বছরের বেশি তাদের ঝুঁকি সাধারণ জনসাধারণের তুলনায় (৬০ বছর বয়েসের নিচে) বেশি, বিশেষ
করে যাদের বয়েস ৮০ বছরের বেশি তাদের ক্ষেত্রে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করার ঝুঁকি সূচকীয়
হারে বাড়ে। যেমন, ইংল্যান্ডে মারা যাওয়া লোকজনের মধ্যে ৯০% এর বয়েস হচ্ছে ৬০ বছর বয়েসের
বেশি। নারীদের তুলনায় পুরুষরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন এবং আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন।
যেমন, একই বয়েসের একজন নারীর তুলনায় একজন পুরুষের মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি, বিশেষত সর্বমোট
মৃত্যুর ৬০% হচ্ছেন পুরুষরা। এবং যেসব ব্যক্তির পূর্ব কোনো রোগ আছে, বিশেষ করে ডায়াবেটিস,
স্থূলতা, গুরুতর হাঁপানি, এবং হৃদরোগ, তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
গবেষণাটি
আক্রান্ত হওয়া এবং মৃত্যুর ক্ষেত্রে জাতিগত বৈষম্যতার প্রভাব নিশ্চিত করেছে। যেমন,
কৃষ্ণ, দক্ষিণ এশীয় (যেমন, বাঙলাদেশি বংশোদ্ভুত) এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর রোগীদের
শ্বেতাঙ্গ রোগীদের তুলনায় মারা যাওয়ার বেশি সম্ভাবনা রয়েছে। সাধারণত এইসব সংখ্যালঘু
ব্যক্তিরা নিম্ন আয়ের ও নিম্ন স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামোর এলাকায় বসবাস করেন, তাদের স্বাস্থ্যবীমা
নেই, কিংবা স্বাস্থ্যব্যবস্থা থেকে বর্ণবাদের শিকার হন। এছাড়া, দীর্ঘদিনের বৈষম্য ও
প্রতিকূলতার কারণে এইসব ব্যক্তিদের মধ্যে ঝুঁকি-বৃদ্ধি-করে এমন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা
বেশি। এই ব্যাপার আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে-ও সত্য, যেমন, শ্বেতাঙ্গদের তুলনায়
কৃষ্ণাঙ্গ ও ল্যাটিনো ব্যক্তিদের মারা যাওয়ার সম্ভাবনা দ্বিগুণ বেশি।
দেখা
যাচ্ছে যে এই করোনাভাইরাস সংক্রমণ করার ক্ষেত্রে “মৌলবাদী” না হলে-ও আক্রান্ত হওয়ার
পরে আপনি বাঁচবেন না মরবেন সেটি আপনার আর্থসামাজিক অবস্থার উপর অনেকাংশে নির্ভর করে।
No comments:
Post a Comment